মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো বিশ্বের শীর্ষধনী জেফ বেজোসের। মঙ্গলবার নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি মহাকাশযান ‘নিউ শেফার্ড’-এ চড়ে মহাকাশ ভ্রমণ করে এসেছেন তিনি। এই যাত্রায় তার সঙ্গী ছিলেন ভাইসহ আরও তিনজন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে টেক্সাসের ভ্যান হর্নের কাছাকাছি একটি বেসরকারি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশযানে করে যাত্রা শুরু করেন জেফ বেজোস, তার ভাই মার্ক বেজোস, ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক এবং ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অলিভার ডিমেন। এর ঠিক ১১ মিনিট পরেই প্যারাসুটের সাহায্যে পশ্চিম টেক্সাসের মরুভূমিতে নেমে আসেন তারা।
ক্যাপসুলটি মাটিতে নামার পরপরই বেজোস বলেন, ‘অ্যাস্ট্রোনট বেজোস: সবচেয়ে সেরা দিন!’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এটি ছিল পৃথিবীর উপকক্ষপথে ঐতিহাসিক যাত্রা, যা বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ পর্যটনের নতুন যুগের সূচনা করলো।
বোজেসের মহাকাশযানটি পৃথিবীপৃষ্ঠের ১০৭ কিলোমিটার ওপরে উড়েছে। ৫৭ বছর বয়সী এই মার্কিন বিলিয়নারের ভ্রমণের সময়কাল ছিল মাত্র ১০ মিনিট ২০ সেকেন্ড। তাদের যানটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় তিন হাজার ৫৪০ কিলোমিটার।
উড্ডয়নের দুই মিনিটের মাথায় বোজেসদের ক্যাপসুলটি রকেট থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং উপরে কারমান লাইনের দিকে যাত্রা শুরু করে।
এসময় বেজোসরা প্রায় চার মিনিট ওজনশূন্যতা অনুভব করেছেন এবং সিটবেল্ট খুলে ভেসে বেড়ানো ও দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে পেয়েছেন।
কারমান লাইন হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের সীমান্ত। কারমান লাইন অতিক্রমের পর মহাকাশ যাত্রীদে আনন্দ উল্লাস করতে শোনা গেছে।
বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযান নিউ শেফার্ড। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যে বানানো হয়েছে এটি। তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটিতে মহাকাশে যাত্রাকারী যানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় জানালা ছিল, যা দিয়ে পৃথিবীর চমৎকার রূপ দেখা সম্ভব।
শুধু মনোরম দৃশ্য উপভোগই নয়, এদিন মহাকাশ ভ্রমণের ইতিহাসও নতুন করে লিখেছেন অভিযাত্রীরা। বেজোসের সফরসঙ্গী ওয়ালি ফাঙ্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মহাকাশচারী এবং অলিভার হলেন সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশচারী।