ঈদ শেষ হলেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের উভয়মুখি যাত্রীদের চাপ রয়েছে। একদিকে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, অপরদিকে আসন্ন লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। এতে করে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখি যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা বিভিন্ন যানবাহনে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন।
বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চেই ছিল যাত্রীতে ভরপুর। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রতিটি লঞ্চেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। ফলে উপেক্ষিত রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেককেই মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।
এদিকে ফেরিতে সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকলেও দুপুরের পর যানবাহনের চাপ শুরু হয়। চাপ বাড়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক যাত্রী ছিল। শিমুলিয়া ঘাটেও দেখা যায় একই চিত্র।
এছাড়া পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারে দ্বিগুন সময় লাগছে। ফলে উভয়পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়িসহ ৬শ’ যানবাহন। এরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকলেও ১৩টি ফেরি ও ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে।
তবে ঘাট এলাকায় প্রশাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পরেনি।
শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ১৩টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে উভয়পারে ৬শ’ যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেলের চাপ রয়েছে ফেরিগুলোতে। বেশ কয়েকটি ফেরি ছাড়তে হয়েছে শুধু যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে। হাজার হাজার মটরসাইকেল অপেক্ষমান রয়েছে।
আর বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শক আক্তার হোসেন জানান, সকাল থেকেই লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পারাপার করছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন ও যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী গাড়িসহ জরুরি যানবাহন পারাপার করছি। প্রতিটি ফেরিতেই বিপুল সংখ্যক সাধারণ যাত্রী পার হচ্ছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।