বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ১০২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৩ টাকা, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
আর উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। তবে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা। আগে এটি ছিল ৪৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এ সংস্থা। এরপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
জানা যায়, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।
গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।