টিকা নেওয়ার পরও যেকেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাঁদের ঝুঁকি টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কম। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে ওই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হবে।
আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকা নিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন—এমন রোগীদের তুলনায় টিকা না নেওয়া রোগীদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতা বেশি। টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির হার এবং মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। গত মে ও জুন মাসে এ গবেষণা পরিচালনা করে আইইডিসিআর।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের জাতীয় তালিকা থেকে গবেষণার নমুনা বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৫৯২ জন কোনো টিকা নেননি। বাকি ৭৪২ জন অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ টিকা নিয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আইইডিসিআর বলছে, টিকা না নেওয়া রোগীদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতায় ভুগেছেন ১১ শতাংশ। আর দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। যারা টিকা নেননি, তাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা পূর্ণ টিকা গ্রহণকারীদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৭ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। যারা নেননি, তাদের ২৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
আইইডিসিআর আরও জানায়, টিকা না নেওয়া রোগীদের ৩ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছেন, আর টিকা নেওয়া রোগীদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশের।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্যান্য অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত এবং টিকা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির হার ৩২ শতাংশ। আর দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ১০ শতাংশ।