অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-ম্যাক্সিকো।
কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে মেক্সিকোকে টাইব্রেকারে ৪–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য।
মাঠে নেমে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে বর্তমান সোনাজয়ী ব্রাজিল। যদিও মেক্সিকোর অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গুলেরমো অচোয়ার কাছে সব আক্রমণ ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের ১০ম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। কিন্তু আরানার দুর্দান্ত শট রুখে দেন ৩৬ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিলেরমো ওচোয়া। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল, যদিও ভিএআরের সাহায্যে সেটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ৮২ মিনিটে রিচার্লিসনের হেড মেক্সিকোর গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
গোলের সুযোগ পেয়েছিল মেক্সিকোও। দ্বিতীয়ার্ধে তারা অন্তত দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ফলে ৯০ মিনিটের খেলা অমিমাংসিত থাকে। এরফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কিন্তু ১২০ মিনিটের খেলাতেও দুই দলের কেউই কোন গোল করতে না পারায় অমিমাংসিত থেকে টাইব্রেকারে গড়ায় অলিম্পিক ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনাল। এরপর টাইব্রেকারে পেনাল্টিতে ৪-১ গোলে জিতে ব্রাজিল।
টাইব্রেকারে নিজেদের গোলকিপার সান্তোসকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ব্রাজিল। মেক্সিকোর এদুয়ার্দো আগুইয়োর স্পটকিক রুখে দেন আতলেতিকো পারানায়েনেসের এ গোলকিপার। টাইব্রেকারে এমনিতেই ভালো করতে পারেনি মেক্সিকো।
তাদের ডিফেন্ডার হোয়ান ভাসকেজও টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। গোলপোস্টে মারেন তিনি। মেক্সিকোর হয়ে শুধু কার্লোস রদ্রিগেজ লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছেন।
ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন দানি আলভেজ, মার্তিনেল্লি, গুইমারায়েজ ও রেইনার। রেইনারের ডান পায়ের শট মেক্সিকোর জালে জড়ালে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকসের ফাইনালে এই মেক্সিকোর কাছে হেরেই প্রথম স্বর্ণের স্বপ্ন ভেঙেছিল ব্রাজিলের। পরের আসরেই ঘরের মাঠে অধরা সেই স্বাদ পায় তারা।
এবার লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে এসেছে ব্রাজিল। ফাইনালে ব্রাজিল খেলবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জাপান ও স্পেনের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।