করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, দোকানপাট খোলা হলেও সংশ্লিষ্টদের টিকা নিয়ে খুলতে হবে। নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে সবাইকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব, কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। ভ্যাকসিন নিয়েছে কি না যাচাই করতে পারব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি তা, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার আবার নতুন করে ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো।