করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্কটল্যান্ডে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে এসব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
বিবিসি জানায়, সর্বশেষ যেসব বিধিনিষেধ ছিল-তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
স্কটল্যান্ডে এমন সময়ে এসব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলো, যখন সেখানে দৈনিক সংক্রমণ এক হাজারের ওপরে।
তবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলেও দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিয়ন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, স্কটল্যান্ডবাসীরা বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে শুরু করেছেন। মহামারি শুরুর পর নাইট ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে বিধিনিষেধ উঠলেও নাইট ক্লাব বন্ধ ছিল। বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ফলে এই প্রথম সেখানকার নাইট ক্লাবগুলো খুলে যাচ্ছে।রেস্তোরাঁ চালু থাকবে। উন্মুক্ত স্থানে জনসাধারণ জড়ো হতে পারবেন।
তবে সতর্কতাস্বরূপ কিছু বিধিনিষেধ এখনো বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, জনসমাগমস্থল এবং গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্কুল খোলার ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ছোট্ট শিশু ও শিক্ষকদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে শুধু কক্ষের ভেতরে এই নিষেধ মানতে হবে। এ ছাড়া স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিশু শিক্ষার্থীদের এক মিটার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। যাঁরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে যাবেন, তাঁদের দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্কটল্যান্ডে যেসব অফিসের কাজ বাসায় থেকে করা সম্ভব, তাদের বাসায় থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া যাঁরা টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন, তাঁদের কিছু বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনায় সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দুই ডোজ নেওয়া কোনো ব্যক্তিকে বা কোনো শিশুকে আইসোলেশনে থাকতে হবে না। উপসর্গ না থাকলে এবং পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই।