জার্মানিতে ভ্যাকসিনের বদলে স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের বিরুদ্ধে।
গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেশটির নর্থ সি কোস্ট এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল ফ্রাইসল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটলেও তা সামনে এসেছে সম্প্রতি।
ঠিক কী কারণে ওই নার্স এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
এ ঘটনার তদন্ত করছেন পিটার বিয়ার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, সাক্ষীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে বিপদের আশঙ্কা করছেন তিনি। তবে ওই নার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
মানবদেহে স্যালাইন পুশ করা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু জার্মানিতে মার্চ এবং এপ্রিলের মধ্যে যাদেরকে টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকি ছিল। কারণ এসব টিকা গ্রহীতার বেশিরভাগেরই বয়স ৭০ বছরের উপরে।
স্থানীয় কাউন্সিলর সোভেন অ্যামব্রোসি ফেসবুকে বলেছেন, ‘আমি এই ঘটনা জেনে পুরোপুরি হতবাক হয়ে গেছি। কারণ এই ঘটনার শিকার হতে পারেন এমন ৮ হাজার ৬০০ জনকে ডেকেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ফ্রিসল্যান্ড জেলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করবে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।’
এই ঘটনা প্রকাশের পর ৪০ বছর বয়সী ওই নার্সের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ কাজ করার পেছনে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানা যায়নি। কিন্তু এর আগে ওই নার্স সামাজিক মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন বিধি নিষেধের সমালোচনা করে পোস্ট শেয়ার করেছেন বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে, গত এপ্রিল মাসে অভিযুক্ত ওই নার্স টিকার পরিবর্তে ছয় জনকে স্যালাইন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। ওই সময় তিনি একটি ভ্যাকসিনের শিশি মেঝেতে ফেলে দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন।
কিন্তু পুলিশি তদন্তে দেখা গেছে, ফাইজার/বায়োটেক ভ্যাকসিনের পরিবর্তে আরও অনেক মানুষকে ওই সময় স্যালাইন পুশ করা হয়েছিল।
কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে ওই নার্স এমনটা করেছিলেন কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। যদিও ওই নার্সের আইনজীবী এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য আরও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । এখন পর্যন্ত এই মামলায় কোনও অভিযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী ৮৫৫৭ জনকে ফের টিকা নেওয়ার আহবান জানায়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন নতুন করে টিকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।