স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সবাইকে করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে ‘গণটিকা’ কার্যক্রম আর নেওয়া হবে না। যে পরিমাণ টিকা পাবো সে পরিমাণ লোককে টিকা দেব।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করছি না। কারণ সে পরিমাণ টিকা হাতে নেই। আর ‘গণ’ কথাটা আগামীতে ব্যবহার করবো না। হয়তো অধিদপ্তর থেকে করেছে। আমাদের হাতে যখন যা টিকা আসবে আমরা ততোগুলো লোককে দেব। লম্বা লম্বা লাইন করে দেবো না। অনেকে বলেছে যে মর্ডানার টিকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি করে মর্ডানার টিকা দেই। টিকা কিন্তু সবই কার্যকর তা যে দেশেরই হোক আমেরিকা, ভারত, যুক্তরাজ্য, চীন বা অন্য দেশ। সেজন্য হুড়োহুড়ি করে যাওয়ার দরকার নেই।
অনেকেই নিবন্ধনের এক মাস পরেও টিকা পাচ্ছে না কেন- প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি নিবন্ধন হয়েছে। তার মধ্যে দুই কোটি লোকের বেশি টিকা পেয়েছেন। এমনও দিন গেছে যে ২০ লাখ লোক নিবন্ধন করেছেন। টিকা তো ততটুকু দিতে পারবো যতটুকু হাতে আছে। এখন আমরা সেদিকেও নজর দেব যতটুকু আছে সে অনুযায়ী যেন নিবন্ধন হয়। মানুষ যাতে ভুল না বোঝে যে নিবন্ধন করলাম, পেলাম না। সব কাজই একটা সিস্টেমে আসতে সময় লাগে। আমরা গ্রামে নিয়ে গেলাম, গ্রামে সংক্রমিত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। গ্রামে মুরব্বি লোকেরা থাকে, তাদেরকে আগে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। টিকা আসলে আমরা গ্রামের দিকে মনোযোগ দেব। শহরে দুই কোটির মতো হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা আসবে। এ মাসে কিছু আসবে, বাকিগুলো সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। সেটা অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়ে আছে সাড়ে ৬ কোটির। ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আশা করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। যখন যত টিকা আসবে তখন নিবন্ধন অনুযায়ীই টিকা দেওয়া হবে।
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাত থেকে আট কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।