ভায়াডাক্টের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে চালিয়ে দেখা হলো প্রথম মেট্রোরেলের ট্রেন।
রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে চালিয়ে দেখা হয় এই ট্রেন।
এই যাত্রায় ৬টি বগি নিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে যাত্রা করে যাত্রীবিহীন ট্রেনটি উত্তরা-উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা-দক্ষিণ ও পল্লবী হয়ে ডিপোতে ফিরে আসে।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক এই চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন এম সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ও মেট্রোরেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর তিনটি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুনে পদ্মাসেতু, পরে কর্ণফুলী ট্যানেল, আর বছর শেষে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল লাইন-৬ উদ্বোধন হবে।
তিনি বলেন, এটি একটি মাইলফলক। মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। সমালোচকরা সমালোচনা ও অপপ্রচার করবে, আমরা জবাব দেবো কাজে। শেখ হাসিনা সরকার কাজেই জবাব দেয়। আমরা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুসহ মেগা প্রজেক্ট দিয়ে জাবাব দিচ্ছি।
এর আগে ডিপোতে রাখা মেট্রো ট্রেনের ভেতর ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
পরীক্ষামূলক চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে এরআগে শুক্রবার দিয়াবাড়ীর ডিপো থেকে পল্লবী পর্যন্ত ভায়াডাক্টের (উড়াল রেলপথ) ওপর চালানো হয় মেট্রোরেলের ট্রেন। উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোটি মাটিতে, মূল লাইন উড়ালপথে।
উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি-৬) নির্মাণকাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লাইনটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এক দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হবে। এমআরটি-১, এমআরটি-২, এমআরটি-৪ এবং এমআরটি-৫ (উত্তর ও দক্ষিণ লাইন) নামে আরও চারটি মেট্রোরেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে।