মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশে অবস্থারত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রায় ১৮ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাও এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবেন।
বুধবার জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন এ সহায়তা ঘোষণা করে।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এ নিয়ে ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আমাদের সহায়তা দাঁড়ালো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। নিরাপদে তারা কক্সবাজারে আশ্রয় নেন।
এখন বাংলাদেশে বাস করছেন প্রায় নয় লাখ রোহিঙ্গা। এতে ৪ লাখ ৭২ হাজার স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জীবন-রক্ষা সহায়তায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থও এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের ওপর যে চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংকট মোকাবিলা ও সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক আচরণ করেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া, রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা মোকাবিলায় দারুণ দক্ষতা দেখানোয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দূর করতে আরও সহায়তা প্রয়োজন এবং তার জন্য অন্যান্য দাতাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।