ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে মমতা ব্যানার্জিকে জিততেই হতো এ নির্বাচনে। শেষ পর্যন্ত এই উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ টিকিয়ে রাখলেন মমতা।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন মমতা। গণনা যত এগোয়, মমতার ভোটের ব্যবধান তত বাড়ে। মোট ২১ রাউন্ড ভোট গণনা হয়। গণনা শেষে মমতা ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয় পান।
মমতা ৮২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি ভোট।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার এবারের নির্বাচনে মমতা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা।
নন্দীগ্রামে মমতা হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে।
মমতাকে ভবানীপুর আসন থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানকার নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এতে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনের উপনির্বাচনে লড়েন মমতা।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হয়। এই আসনে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা জয়ী হয়েছিলেন।
উপনির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে মূল লড়াই হয় তৃণমূল প্রার্থী মমতার সঙ্গে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকার।