নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া উভয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা দেন।
আসামিরা বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনার এক বছর পর এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ লাবলু, বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদল।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ লাবলু জানান, আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলাটিতে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, জেরা ও জবানবন্দি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে ১২ জন ও আসামি পক্ষে ৩ জন সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে উভয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদাণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে দুই আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কারগার থেকে আদালতে আনা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলো, দেলোয়ারের সহযোগী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ আবুল কালাম।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে তার ঘরে ঢুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে দেলোয়ার হোসেন ও তার বাহিনী। নির্যাতনকারীরা ওই ঘটনা মোবাইলে ধারণ করে, যা ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরে ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর দুই দফায় তাকে ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় দুইজনকে আসামি করে এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফিসহ আরও দুটি মামলা করেন তিনি।