বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সচল হয় ফেসবুকের সেবাগুলো। হুট করে সেবা বিঘ্নে বিপাকে পড়েন ব্যবহারকারীরা। এতে ক্ষমা চেয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ব্যাকবোন রাউটারের কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের ডেটা সার্ভারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক সমন্বয় করে রাউটারটি। এতে সার্ভারের ডেটা আদান–প্রদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।’
ফেসবুকের সেবাগুলো অনলাইনে ফিরে এসেছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে পুরোদমে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে প্রকৌশল দল।
প্রকৌশল দল আরও জানান, ‘আমরা পরিষ্কার করতে চাই, এই সেবা বিঘ্নের পেছনের কারণ কনফিগারেশনে ত্রুটিপূর্ণ পরিবর্তন। সার্ভার ডাউনের কারণে ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
ফেসবুকের সার্ভার কার্যত অচল হয়ে পড়ায় প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও বিঘ্নিত হয় বলে জানান লেসলি গ্র্যান্ট। পাশাপাশি ফেসবুক অফিসে কর্মীরা প্রতিদিনের কাজে যে প্রোগ্রামগুলো ব্যবহার করেন, সেগুলোতেও ত্রুটি দেখা দেয়। উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থতার সেটিও একটি কারণ।
সার্ভার ডাউন হওয়ার তথ্য প্রকাশ করা ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেকটর বিবিসিকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর ফেসবুক পরিষেবায় এটাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক এবং এর অন্যান্য অ্যাপস বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়নি।