এই বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসের সেরা খেলোয়াড়দের স্বীকৃতি দিচ্ছে আইসিসি। যার জন্য প্রতি মাসেই সেরাদের মনোনয়ন ঘোষণা করে আসছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এবার সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তালিকায় তার সঙ্গে আরও রয়েছেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে ও যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার হিটার জাসকারান মালহোত্রা।
গত মাসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের তারকা পারফর্মার ছিলেন নাসুম। দারুণ লাইন-লেন্থে সফরকারীদের ভুগিয়েছিলেন। ওই সিরিজে নেন ৮ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে ১০ রান দিয়ে পান ৪ উইকেট। তার অসাধারণ পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিততে বড় অবদান রাখে।
অন্যদিকে লামিচানে তার ছোট্ট ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে মুগ্ধ করেছেন ক্রিকেট বিশ্বকে। তার দুর্দান্ত লেগ স্পিন প্রতিপক্ষকে তটস্থ করতে যথেষ্ট। গত মাসে তিন আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ টুতে দারুণ পারফর্ম করেছেন। ৬ ওয়ানডে খেলে ৭.৩৮ গড়ে নেন ১৮ উইকেট। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ১১ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন লামিচানে।
আর মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে মনোনীত তৃতীয় ক্রিকেটার জাসকারান স্মরণীয় পারফর্ম করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকান এই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন। বিশ্বকাপ লিগ টুয়ে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ওই ইনিংসে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রান করে। ছয় ওয়ানডেতে ৮৭ গড়ে করেন ২৬১ রান, স্ট্রাইক রেট ১০৪.৪০।
এর আগে এ তালিকায় মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের নাম উঠেছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দূর্দান্ত পারফর্মেন্সের স্বীকৃতি স্বরুপ মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন মুশফিক। অপরদিকে জিম্বাবুয়ে সফরে অলরাউন্ড পারফর্ম করে জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পান সাকিব।
এখন তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে নাসুম সেরা হতে পারেন কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আগের মাসের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত অনফিল্ড পারফরম্যান্স ও সার্বিক অর্জনের ওপর ভিত্তি করে তিন জনের তালিকা নির্ধারণ করে আইসিসি অ্যাওয়ার্ডস নমিনেশন্স কমিটি। এই তালিকা থেকে বিজয়ী নির্বাচনে ভোট দেবেন ভোটিং অ্যাকাডেমি ও ভক্তরা। ভোটিং অ্যাকাডেমিতে থাকেন প্রবীণ সাংবাদিক, সাবেক খেলোয়াড় ও ব্রডকাস্টাররা। ই-মেইলের মাধ্যমে ভোট দেন তারা, ৯০ শতাংশ ভোট থাকে তাদের হাতে। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ভক্তরা আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোট দেন, তাদের ভোটিং শেয়ার ১০ শতাংশ।
আইসিসির ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় সোমবার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।