গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ব্যবসায়ী দুলাল শেখ হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। পালাতক থাকায় রায় ঘোষনার সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গোপালগঞ্জর মুকসুদপুর উপজেলার ভট্টাচার্য্য কান্দি গ্রামের মো. মান্নান শেখের ছেলে ফক্কার শেখ, মুছা শেখের ছেলে মো. মেহেদী হাসান শেখ, গোহালা গ্রামের শংকর সাহার ছেলে সুমন সাহা, একই গ্রামের মো. কাঞ্চন ফকিরের ছেলে মো. কাওছার ফকির এবং শ্রীজিতপুর গ্রামের সিরাজ মোল্লার ছেলে মো. আল আমিন মোল্লা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু এবং আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান এবং মোহাম্মদ আবু তালেব শেখ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ জুন রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা দুলাল শেখকে কুপিয়ে হত্যা করে কুমার নদীতে ফেলে দেন। পরদিন নদী থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিনই মুকসুদপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
মামলার প্রধান আসামি আল আমিন মোল্লা বিদেশে থাকলেও বাকি ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় মো. মেহেদী হাসান শেখ ও সুমন সাহা দুলালকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে চার আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান খান পিটু বলেন, ‘এ রায়ের মধ্যে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কেউ অপরাধ করতে ছাড় পাওয়া যাবে না এ রায় তার প্রকৃত উদাহরন। এ রায়ে বাদী পক্ষের সবাই খুঁশি।’