মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিন পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলাটি বদলি হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন আদালতের মূল বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় চার্জশিট গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
পরীমনির পক্ষে জামিন শুনানি করেন নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। তিনি বলেন, ‘মামলায় পরীমনি জামিনে আছেন। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি। মামলাটি বদলি হয়ে এই আদালতে এসেছে। তাই তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। জামিন হওয়ার পর তিনি কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। জামিন দিলে সব শর্ত তিনি মেনে চলবেন। তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’
শুনানি শেষে আদালত তিন আসামির জামিনের আদেশ দেন। আগামী ২ নভেম্বর চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
তখন পরীমনির আইনজীবী নভেম্বরের শেষে দিকে তারিখ রাখার প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘পরীমনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। এ কারণে তিনি সিনেমার শুটিং করতে পারেননি। এখন শুটিং শুরু হয়েছে। তাকে ঢাকার বাইরে যেতে হচ্ছে। এজন্য আমরা একটু লম্বা তারিখ চাচ্ছি।’
পরে আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরদিন আদালত চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ২৬ অক্টোবর ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট দাখিল হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন কারামুক্ত হন পরীমনি।