ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কতজন নিহত হয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার এক টুইট বার্তায় তথ্যমন্ত্রী মুয়াম্মার আল ইরিয়ানি বলেন, হুথিরা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে একটি মসজিদ এবং একটি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মারিব প্রদেশের গভর্নরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাতে এ হামলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করা হলেও ইরান–সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখনো এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
গত কয়েক মাস ধরেই ইয়েমেন সরকার এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, মারিবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।
ইয়েমেনের জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা এখন হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শুধু মারিব। মারিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।
২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে মানসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকে সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
ইয়েমেনে দীর্ঘদিনের সংঘাতে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে হুথিনিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিধিনিষেধের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে খাদ্য সংকটে পড়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ।