দিল্লিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত আরও এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে ভারতের পাঁচটি প্রদেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ জনে। আর দিল্লিতে ওমিক্রনে শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল দু’জনে। সর্বশেষ শনাক্ত ব্যক্তি সম্প্রতি জিম্বাবুয় ও দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন। দিল্লি ছাড়া অন্য প্রদেশগুলো হলো মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক ও রাজস্থান।
শনিবার ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গণ জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মুম্বাই পুলিশ। শনিবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে ৪৮ ঘণ্টার জন্য। মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার সাড়ে তিন বছরের এক শিশুসহ সাত আক্রান্তকে চিহ্নিত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের মধ্যে তিন জন তানজানিয়া, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সম্প্রতি মুম্বাই ফিরেছেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তানজানিয়া থেকে যে ব্যক্তি মুম্বাইয়ে ফিরেছেন তার শরীরে ওমিক্রনের মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে। কোভিডের কোনো টিকা নেওয়া ছিলো না তার।
ব্রিটেন থেকে যে ব্যক্তি ফিরেছেন, দু’টি টিকাই নেওয়া ছিলো তার। ওমিক্রনের কোনো উপসর্গ ধরা পড়েনি ওই ব্যক্তির শরীরে।
আর মুম্বাইয়ে যে সাত জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে চার জনের দু’টি টিকা নেওয়া ছিলো। তবে চার জনেরই তেমন উপসর্গ ছিলো না। বাকি তিন জনের শরীরে মৃদু উপসর্গ ছিলো।
শুক্রবার ভারত সরকারের জারি করা এক সতর্কতায় বলা হয়েছে, করোনার টিকা ও মাস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির কেন্দ্রীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডা. ভিকে পল ওই সতর্কতায় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাস্ক ব্যবহার কমানোর বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে। করোনায় বিশ্ব পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছি।
ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে শনিবার পর্যন্ত ভারতে বিদেশ ফেরত ৯০ জনের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ জন এসেছেন ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে।