ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নৌ পরিবহন আদালত। এছাড়া ওই মামলায় আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে নৌ পরিবহন আদালতের বিচারক (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জয়নাব বেগম এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে বরগুনার সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আইনজীবী নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে রোববার সকালে বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন।
মামলার আইনজীবী সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় মালিকসহ স্টাফদের গাফিলতি সুষ্পষ্ট। আলোচিত এ ঘটনায় বাদী সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন। বিজ্ঞ আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউপির চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যে আমি নিশ্চিত হয়েছি মামলার আসামিদের গাফিলতির কারণে আগুন, মৃত্যু, আহত ও ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করেছি। এ কারণেই আমি ন্যায়বিচারের স্বার্থে স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছি। আমি এ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে গত শুক্রবার ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।