কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীর একটি হোটেলকক্ষে আটকে রেখে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আশিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে আশিককে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে সোমবার রাতে কক্সবাজার শহর থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মো. কামরুল ও মমস রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উত্তর নানিয়ারচর এলাকার আশিকের বিরুদ্ধে অষ্টম শেণির এক ছাত্রীকে হোটেলে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা আশিককে প্রধান আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার পথে আশিকসহ চার যুবক ওই ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে অপহরণ করেন। পরে তাকে সৈকতের মমস গেস্ট হাউসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর রাতে একটি গাড়িতে করে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির সামনে রেখে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এরপর ওই ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আশিক কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁদে ফেলে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ আছে।