করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক নিয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে, করোনাভাইরাসের টিকার অন্তত এক ডোজ নেওয়া না থাকলে তাদের স্কুলে যেতে নিষেধ করবে সরকার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বলা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, আর আজ কেবিনেট বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে বলা হয়েছে। এতক্ষণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চয় এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সিদ্ধান্ত শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের নির্দেশনা নয়।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট ছাড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া, শপিং কমপ্লেক্সে যাওয়া এবং বিমান-ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে না। এমন বাধ্যবাধকতা রেখে দুয়েক দিনের মধ্যে আসছে সরকারি নির্দেশনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, বাড়ির বাহিরে মাস্ক ছাড়া বের হওয়া যাবে না। কোভিড সংক্রমণ আরো বাড়লে গণপরিবহনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভাড়া বাড়ানো যাবে না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমিত জনসমাগম করতে হবে।