৫০ বছর বা এর বেশি বছর বয়সীরা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান। আমরা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি। বুস্টার ডোজে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করেনি। কারণ ছয় মাস সবার পূরণ হয়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখের মতো বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। আমি প্রথমেই জানাচ্ছি যে, বুস্টার ডোজের বয়স ছিল ৬০ বছর। এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এক কোটি সাত লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি। এখনো প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। আমাদের টিকার কোনো ঘাটতি হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনর ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরনের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে, শনাক্ত হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাতে এক-দেড় মাসের মধ্যে হাসপাতালে জায়গা হবে না।’
তিনি বলেন, টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি কমে। কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে না। এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ কোটি টিকা দিয়েছি। আমাদের টিকা যা হাতে আছে এবং যা পাবো তাতে আমাদের জনগণের যতো টিকা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিই আছে। মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং ভ্যাকসিন সময়মতো নেবেন। সরকারের যে ১১ দফা বিধিনিষেধ আছে তা মেনে চলার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
গত ১৯ ডিসেম্বর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) মিলনায়তনে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’-এর উদ্বোধন হয়। এরপর বিভিন্ন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে করোনাকালের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মধ্যে যারা ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সী তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, যারা করোনার টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তারাই ধাপে ধাপে বুস্টার ডোজ পাবেন। এ জন্য তাদের আর সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে না। এর জন্য সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিরা কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজের টিকা নেবেন।