ইউক্রেনকে ন্যাটো জোট থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার বিভিন্ন দাবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর শঙ্কার মধ্যেই মস্কোর দাবি প্রত্যাখ্যান করা হলো।
ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে রাখার দাবির ব্যাপারে কোনো ছাড় না দিলেও ব্লিনকেন বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পথে আগানোর প্রস্তাব করেছেন। রাশিয়ার এটা বেছে নেওয়া উচিত।
রাশিয়ার একজন মন্ত্রী বলেছেন, ন্যাটো ইস্যুতে ব্লিঙ্কেন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ন্যাটোর মতো সামরিক জোটের অংশ হওয়ার মতো অধিকার রক্ষার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমরা একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো এবং রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় সমান মনোযোগী।’
ব্লিঙ্কেনের ভাষায়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আন্তরিকতা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সমান মনোযোগ দিচ্ছে, যাতে তারা রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলা করতে পারে।
এর আগে রাশিয়া সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণে তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে উদ্বিগ্নতার একটি লিখিত তালিকা দিয়েছিল। ওই তালিকায় ইউক্রেনসহ অন্যদের ন্যাটোতে যোগাদানের সম্ভাবনা বাতিলের দাবি করা হয়েছিল।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তে বিশালসংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য জমায়েতকে পশ্চিমা কিছু দেশ সম্ভাব্য আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে আসছে।