করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদেরও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে ৪০ বছর বয়সীরা পাবেন করোনা টিকার বুস্টার ডোজ।
রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও টিকা দেওয়ার হার কম হওয়ায় এখন তা ৪০ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। তাই এখন থেকে ৪০ বছরেও পাবে বুস্টার ডোজ। আমাদের হাতে ৯ কোটি টিকা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছর বয়সীদেরও টিকা দেবো। আগে শুধু স্কুলশিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের মাদরাসাশিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে।
শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দেবো। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেবো না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু হার নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোভিড আক্রান্তের হার ওমিক্রন আসায় ২০ গুণ বেড়ে গেছে। যেহেতু সংক্রমণ বেড়েছে, তাই মৃত্যুও বেড়েছে। ওমিক্রণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে কমপক্ষে চার গুণ।
উল্লেখ্য, সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এজন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।