সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমেছে। ভারতে দুদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিংবদন্তী এ সংগীতশিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকর ছিলেন একজন কিংবদন্তি গায়িকা। ভারতের ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। তার গানের সংখ্যা বিবিসি দাবি করেছে প্রায় ৩০ হাজার। যার মধ্যে শুধু সিনেমাতেই ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার লতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। তার অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়; এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের অফিসার খেতাবে ভূষিত করে।
তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, চারটি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দুটি বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া’ বলে আখ্যা পাওয়া লতা মঙ্গেশকর অর্ধশত বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার পার করেছেন। আমৃত্যু তিনি গানকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। দশকের পর দশকজুড়ে তিনি ছিলেন ভারতের সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন সংগীতশিল্পী।