নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি মুজিব কলেজের ছাত্রী ও শিক্ষানবিশ নার্স শাহানাজ আক্তার প্রিয়তা (২১) হত্যার ঘটনায় মূল আসামি অটোরিকশাচালক রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে নিহত প্রিয়তার ব্যবহৃত মোবাইল ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
রুবেল বসুরহাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মকবুল আহমেদের পালক ছেলে।
শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার চর রশিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে নিহত প্রিয়তার প্রতি আকৃষ্ট ছিল সে। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য তার অটোরিকশায় উঠলে সে সোজা পথে না গিয়ে জমির আলসদৃশ পথে রওনা হয়। তরুণী প্রতিবাদ করলে সে জানায়, এটা তার নানার বাড়ি যাওয়ার সবচেয়ে সোজা পথ। তখন তরুণী রিকশা থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলে আসামি তাকে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে ধস্তাধস্তি করে এবং মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বেঁধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় তরুণী দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।
তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন এ ঘটনায় দিনরাত অভিযান পরিচালনা করেছি। মূল আসামির কাছে পৌঁছাতে আমাদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। আমরা তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে রুবেল। আমরা আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড প্রার্থণা করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
এর আগে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় মমিনুল হক ফারুক (৩০) নামের একজনকে গত ১ মার্চ গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পেছনের ধানক্ষেত থেকে শাহনাজ পারভীন প্রিয়তার মরদহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজের ছাত্রী ও স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ভূঁঞারহাট বাজার এলাকার নুরনবীর মেয়ে।