ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে খুলনায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। ফলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে তাঁরা এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন। কর্মবিরতির কারণে খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫টি জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ আছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় শ্রমিক নেতা আল আমিনের ভাই বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেছেন।
ট্যাংকলরি শ্রমিকরা জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল আমিন খালিশপুর নয়াবাটি রোডের বাসা থেকে বের হন। এরপর চারটি মোটর সাইকেলযোগে আসা ৮-৯ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাতে ১০-১২ জনকে আসামি করে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে আসামিরা কেউ এখনও ধরা পড়েনি।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী তেল উত্তোলন বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন, সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি চলবে। শ্রমিকরা ইউনিয়ন অফিসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজম জানান, শ্রমিক নেতা আল আমিনের ওপর হামলাকারীরা ধরা না পড়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।