গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনের তিন সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি আজাদ মোল্যাকে (৫০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আজাদ মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আজাদ মোল্যার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর মানিকদাহ গ্রামে।
নিহতরা হলেন- ডুমদিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী ফুরিয়া বেগম (৭০), তার তিন নাতি তামিম (৭), আমিনুর সরদার (১৪) ও তনীমা (৫)। তারা নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, নিহত ফুরিয়া বেগমের বড় মেয়ে সরিফা বেগমের সঙ্গে তার স্বামী আজাদ মোল্যার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহ চলছিল। এরই জেরে সরিফা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সরিফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালের ১৭ মে রাতে শ্বশুর বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন আজাদ মোল্যা। এতে ঘরের ভেতর দগ্ধ হয়ে ফুরিয়া বেগম, সরিফার বোনের ছেলে আমিনুর ও তামিম ঘটনাস্থলে মারা যান। গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে তনীমা মারা যায়।
সাক্ষীরা আজাদ মোল্যা ও তার সহযোগিদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল মৃত ফুরিয়া বেগমের ছেলে সাইফুল গাজী হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষ বুধবার আদালত আজাদ মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন-এপিপি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান পিটু, অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান খোকন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন।