শরীর সুস্থ রাখতে হার্টের সুস্থতা অনেক বেশি দরকার। আর এ জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা। তবে এ অভ্যাগুলো যেন ছোট বয়স থেকে গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করা : হার্ট সুস্থ রাখতে হলে প্রথমে আপনাকে সবধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড বাদ দিতে হবে। এসব খাবার পরিহারের ফলে কোলেস্টেরল কমে, রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং প্রদাহ কমায়, তাই হার্টের জন্য এই অভ্যাসটি খুবই ভালো।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি হৃৎপিণ্ডের পেশিকে শক্তিশালী করে, শরীরের ওজন ভালো রাখে এবং উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করা এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে ধমনির ক্ষতি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
ধূমপান ত্যাগ করুন এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকুন : হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনি শরীরের অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাট জমা হয়, যা হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহকে কমিয়ে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। করোনারি ধমনিতে এই জমাট বাঁধা এবং সংকীর্ণতা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটতে পারে। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া ধূমপায়ীর দুই হাত দূরে থাকা অধূমপায়ীর জন্যও ধূমপান বিপজ্জনক, কারণ তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটি শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং শিশুদের ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া এবং হাঁপানির আকস্মিক অব্যক্ত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন : মানসিক চাপ কখনো কখনো উচ্চ রক্তচাপের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে। ধূমপান যেমন হৃদরোগের জন্য দায়ী, তেমনি মানসিক চাপও সমানভাবে দায়ী। মানসিক চাপ দূরে রাখতে একজন মানুষকে অবশ্যই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
প্রতি ছয় মাসে আপনার কোলেস্টেরল এবং হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন : হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত যেকোনো অবস্থা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষাগুলো করার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই, বরং এগুলো হার্টে কোনো সমস্যা আছে কি না, তা সহজেই নির্ধারন করতে পারে।
যদি হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ থাকে বা পরিবারের কেউ যদি অতীতে হার্ট অ্যাটাক করে থাকেন, তাহলে আপনার একই অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা কমাতে এবং দূর করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদেরও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। তাই যদি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মনের মধ্যে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।