ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট উপলক্ষে ফ্রান্সের বেশিরভাগ এলাকায় ছুটি। ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ভোটের প্রথম পর্বে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন র্যাসেলমেন্ট ন্যাশনাল পার্টির ডানপন্থী প্রার্থী মেরি লে পেন।
প্রথম পর্বে ডান-বাম এবং মধ্যপন্থী মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেন। এমানয়েল ম্যাক্রোঁ পেয়েছিলেন ২৮ দশমিক ১ থেকে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। সেখানে লে পেন পেয়েছিলেন ২৩ দশমিক ৩ থেকে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। আর তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন জ্যা-লুক মেলেনচন, তিনি পেয়েছেন ২০ শতাংশ ভোট।
২০০২ সালের পর থেকে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরপর দুবার নির্বাচিত হননি। প্রথম পর্বে জয় পেলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জন্য দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হওয়া কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও মতামত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন সন্ধ্যায় আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
২০১৭ সালে বড় ধরনের পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তার শাসনামলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। ফলে এর আগে যারা তাকে ভোট দিয়েছিলেন এমন অনেকেই এখন আর তাকে চান না। ম্যাক্রোঁর বিরোধিতাকারীরা তাকে অহংকারী ও ধনীদের রাষ্ট্রপতি বলে অভিহিত করে থাকেন। অন্যদিকে ডানপন্থী মেরি লে পেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জরিপ বলছে, দ্বিতীয় ধাপে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ৭৮ শতাংশ। ১৯৬৫ সালে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফ্রান্সে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শার্ল দ্য গল। এবারে ম্যাক্রোঁর ভাগ্যে সেরকম কিছু ঘটে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।