রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে আর কোনো ভবন হবে না। মাঠ যেভাবে ছিল, সেভাবেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে আর কোনো নির্মাণকাজ হবে না। মাঠটি যেভাবে ব্যবহার করা হতো সেভাবেই ব্যবহার হবে। সেখানে আর থানার ভবন হবে না। খেলার মাঠই থাকবে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা ওই জায়গাটির জন্য এপ্লাই (আবেদন) করেছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওই এলাকায় খেলার জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই সেজন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জায়গাটি তো পুলিশেরই। প্রাচীর যতটুকু হয়েছে সেভাবেই। আগে যেভাবে ব্যবহার হতো সেভাবেই এলাকাবাসী ব্যবহার করবেন। প্রাচীর খুব বেশি হয়নি। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমরা দেখবো। কিন্তু জায়গাটি পুলিশের, পুলিশেরই থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ পুলিশ করবে।
কলাবাগান থানা কোথায় হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেটা আমরা দেখবো। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে। এখন আপাতত কিছু হচ্ছে না। নির্মাণ কাজ তো অবশ্যই বন্ধ থাকবে। খেলার মাঠের জন্য উপযোগী জায়গা সেটি নয়। যেভাবে ইউজ করা হচ্ছিলো, সেই এলাকার লোক যেভাবে ইউজ করছে সেভাবেই থাকবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে।
উল্লেখ্য, মাঠটি রক্ষার দাবিতে অনেক দিন ধরে আন্দোলন চলছিল। এর মধ্যে গত রোববার মাঠটি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তাঁর কিশোর ছেলেকে কলাবাগান থানার পুলিশ ধরে নিয়ে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখে। পরে ‘আর আন্দোলন করব না’- এমন মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে আন্দোলন আরও জোরালো হতে থাকে।