জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক রোববার এই আদেশ দেন। তার আগে হাজি সেলিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি জামিনের আবেদন জানান। তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর দুদক মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, হাজি সেলিম জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। হাজি সেলিম তার সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন।
বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায় দেন। রায়ে হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজি সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তাঁর স্ত্রী গুলশান আরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এই দম্পতির অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ২৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।