পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতু উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার গণভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব করেছিল সেতু বিভাগ। সেই সারসংক্ষেপে সই করেননি প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন সেতু সচিব মনজুর হোসেন।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। গত ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে। বাসের ক্ষেত্রে ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী জানান, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চালু করতে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। এ বক্তব্যের পর প্রশ্ন তৈরি হয়, জুনে নাকি ডিসেম্বরে সেতু চালু হবে।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর দুই পাশে ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর। সেতুর দুই প্রান্তে তিন দশমিক ১৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে আরও ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু দেশের দীর্ঘতম সেতু। ৪২টি পিয়ারে (খুঁটি) ৪১টি স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর পদ্মার দুই তীর যুক্ত হয়েছে সেতুতে।
সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায়। দ্বিতল পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেক বা নিচতলায় চলবে ট্রেন। লোয়ার ডেকে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে আগামী জুলাইয়ে। ১১ হাজার কোটি টাকায় পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।