ইউক্রেনকে ‘অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধাস্ত্র’ সরবরাহ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা মতামতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেন দীর্ঘ সময় ধরে এ অস্ত্রের জন্য অনুরোধ করছিল। এসব অস্ত্র ইউক্রেন বাহিনীকে শত্রুসেনাদের আরো নিখুঁতভাবে দীর্ঘ দূরত্ব থেকে আঘাত হানতে সহায়তা করবে।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করা হতে পারে এই আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করে আসছিল।
তবে বুধবার এ ঘোষণা দেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, এ প্রাণঘাতী অস্ত্র পাওয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা বাড়বে।
বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো ‘একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনকে আরও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী’ হিসেবে দেখা। অস্ত্রের নতুন চালান ‘অস্ত্রের নতুন চালান ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্টভাবে মূল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম করবে।’
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য কী তা স্পষ্ট করেছেন বাইডেন। একইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়াতে চাইছে না ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ১১তম নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (এইচআইএমএআরএস) পাঠানো হবে। এইচআইএমএআরএসকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হবে। এই ব্যবস্থায় ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।