আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বুধবার এই সতর্কতার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রোগ নয়—এমন ২৯টি দেশ থেকে ১ হাজারের বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্য জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে।’
তবে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে এখনই গণটিকা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার সুপারিশ ডব্লিউএইচও করছে না বলে জানান তেদরোস।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কারও মারা যাওয়ার তথ্য ডব্লিউএইচওর কাছে নেই বলে জানান তেদরোস। তবে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রোগ নয়, এমন দেশগুলোতে মাঙ্কিপক্স সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকির বিষয় হয়ে উঠছে।’
মূলত আফ্রিকার নয়টি দেশে মাঙ্কিপক্স স্থানীয় রোগ হিসেবে বিবেচিত। তবে গত মাস থেকে আফ্রিকার বাইরে দুই ডজনের বেশি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ দেশ ইউরোপের। মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য, স্পেন ও পর্তুগালে।
তেদরোস বলেন, এসব দেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামী পুরুষেরা। কিছু দেশে মাঙ্কিপক্সের সামাজিক সংক্রমণের (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু দেশে নারীরাও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাঙ্কিপক্সের কৌশলগত বিষয়ক প্রধান রোসামুন্ড লুইস বলেছেন, ‘বাতাসের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে মাঙ্কিপক্স রোগীদের যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক পরা উচিত।’