বাজারে পাওয়া যাচ্ছে লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল। রসালো এবং সুমিষ্ট এই মৌসুমি ফল লিচু সবারই প্রিয়। লিচুতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধও করতে পারে।
লিচুর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো:
* লিচু ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্লেভনয়েড আছে যা ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
* লিচুতে ওলিগোনোল নামে একটি উপাদান রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
* হজম প্রক্রিয়া ভালো করে লিচু। যদি কারও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তাদের জন্য লিচু খুবই উপকারি ফল।
* এক গবেষণায় জানা যায় চোখের ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধেও লিচু উপকারী।
* লিচুতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে। তাই এ ফল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিহত করে।
* লিচুতে ফ্যাট থাকে কম, পানি থাকে প্রচুর, ফাইবারও থাকে অনেক। তাই এই ফল ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
* এই ফলে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন সি থাকে অনেক। সে কারণে এ ফল রক্ত প্রবাহ নির্বিঘ্ন করে।
* শরীর ব্যথা ও শরীরের নষ্ট কোষ সারাতে লিচু উপকারি।
* লিচু শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে পারে।
* কফ, কাশি দূর করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লিচু অনেক উপকারি।
* লিচুতে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের উপস্থিতি বেশি থাকায় এটি হাড় মজবুতেও সহায়ক।
* অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা দূর করতেও লিচু উপকারি।
* লিচুতে পটাশিয়াম ,কপার ও ভিটামিন সি বেশি থাকায় কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে এই ফল যৌন ইচ্ছা বাড়ায়।
সাবধানতা: লিচু খুব পুষ্টিকর খাবার হলেও, খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, এতে চিনির উপাদান প্রচুর থাকায় যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের পরিমিত পরিমান লিচু খেতে হবে। তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে লিচু বর্জন করতে হবে। লিচু হরমোনের ভারসাম্য কিছুটা নষ্ট করে। তাই বেশি লিচু খেলে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ, জ্বর ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে কারণে পরিমিত খেতে হবে এই ফল। এছাড়া যেসব মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করান, তাদের লিচু না খাওয়াই ভালো। কারণ লিচু শিশুদের হেমোরেজ ও ইনফেকশনের জন্য দায়ী হতে পারে। খালি পেটে কাঁচা লিচু খেলে শিশুদের নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।