বাংলাদেশের কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে ভারতে গ্রেফতার পি কে হালদারকে আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে এই ১৪ দিন ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জেলে গিয়ে কোনো তদন্ত করতে পারবে না।
মঙ্গলবার তাকে ব্যাঙ্কশাল সিবিআইয়ের স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে ভরা আদালত কক্ষে নিজেকে অবশেষ প্রশান্ত কুমার হালদার বলে স্বীকার করে নিলেন অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের মূলহোতা পিকে হালদার। আসামিদের পরিচয় পর্বের সময় ভরা আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে নিজের পরিচয় স্বীকার করে নেন তিনি। এ সময় অভিযুক্ত ৬ সহযোগীও নিজেদের পরিচয় স্বীকার করেন। এতে বিব্রত অবস্থায় পড়েন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আসামিপক্ষের তরফে মূল অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তের বাংলাদেশি পরিচয় এতদিন অস্বীকার করে তাদের ভারতীয় পরিচয়কেই আদালতের সামনে নিয়ে আসছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন একই আদালত পি কে হালদারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে পিকে হালদারসহ তার সাগরেদরা বেআইনি ব্যবসা খুলে বসেছিল।
নির্দিষ্ট অভিযোগের গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর তাদের আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে তিনদিনের এবং পরে আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
ইডি এরই মধ্যে তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও মোবাইল উদ্ধার করেছে।
ইডি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ৪০টি স্থাবর সম্পত্তি, ৬০ কোটি টাকার ব্যাংক আমানতের প্রমাণ এবং মালয়েশিয়াতে সাতটি বাড়ির হদিস পায়।