শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দিনেশ গুনাবর্ধনে। শুক্রবার শপথগ্রহণ করেন তিনি।
ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার স্কুলের সহপাঠী দিনেশ গুনাবর্ধনেকে নিয়োগ দেওয়া হলো। ৭৩ বছর বয়সী গুণাবর্ধনে নিজেও বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য।
এদিকে জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় একযোগে পদত্যাগ করা আগের মন্ত্রিসভাই আবারও শপথ নিতে চলেছে। শুক্রবার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে শপথ নেওয়ার কথা তাদের। জাতীয় সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে এই মন্ত্রিসভা এবং পরে তাতে রদবদল আনা হবে।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট রাজনৈতিক টানাপোড়েনে একযোগে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির মন্ত্রিসভার সব সদস্য। গত ৩ এপ্রিল লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগকারী মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপাকসেও।
এর পরের দিনই নতুন চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাসিল রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হন আলি সাবরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান জিএল পেইরিস। এছাড়া দীনেশ গুনাবর্ধনে শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো মহাসড়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে সামরিক বাহিনী। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট সচিবালয় থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে এই অভিযান শুরু হয়।
শত শত সৈন্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় গল ফেস ঘিরে ফেলে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে শুরু করে।
পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের তাঁবু ও অন্যান্য সরঞ্জাম খুলে ফেলে। গল ফেস এলাকায় নতুন করে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অভিযানের আগেই সামরিক বাহিনী আশপাশের পথগুলো বন্ধ করে দেয়।
গল ফেস এলাকায় এবং ওই এলাকার আশপাশে স্থাপিত ব্যারিকেডগুলোর কাছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আক্রমণ ও গ্রেপ্তার করা হয়।