দেশে পেট্রোল-অকটেনের ঘাটতি নিয়ে মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল-অকটেন দেশে আছে। ডিজেল আমাদের কিনতে হয় ঠিক। কিন্তু পেট্রোল-অকটেন কিনতে হয় না। সমালোচকরা অনেক বেশি জ্ঞানী তো, ছোট বিষয়গুলো ভুলে যান!’
বুধবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ দিয়েছি সত্য, কিন্তু সারা বিশ্বে বর্তমানে কেমন অবস্থা বিরাজ করছে তা আপনারা জানেন। বিপদে যাতে না পড়ি সেজন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা সাশ্রয়ী হবো। তার মানে এই না যে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতির জন্য হিমসিম খাচ্ছে। করোনা মোকাবিলা করতে করতেই আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পাল্টাপাল্টি স্যাংকশন। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি খাদ্যের সংকট। সব দেশ বিদ্যুৎ জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী। ইংল্যান্ড, জার্মানি প্রতিটি দেশে দুঃসময় চলছে। বাংলাদেশে যেন তেমন দুঃসময় না আসে সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। তারপরও ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। সেনা থেকে সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এক ইঞ্চি জমি খালি না থাকে। একই সঙ্গে দলের সবাইকে বলবো- উৎপাদন করবেন। এর মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো।’