করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম পরীক্ষামূলক শুরু হতে যাচ্ছে।
আগামী ১১ আগস্ট থেকে শিশুদের পরীক্ষামূলক করোনা টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পরীক্ষামূলক শিশুদের টিকা দেওয়া শুরুর পর আগামী ২৬ আগস্ট পুরোদমে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষভাবে তৈরি ১৫ লাখ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। সব মিলিয়ে শিশুদের টিকাদানে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আগামী ১১ আগস্ট থেকে কেবল ঢাকায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলবে। এরপর ২৬ আগস্ট থেকে সারা দেশে এক যোগে এই কার্যক্রম চালু হবে।
এর আগে গত ১ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশীদ আলম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে শুরু হবে।
এই মুহূর্তে যে পরিমাণ টিকা আছে, তাতে দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই আমরা ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করব। কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করব। তারপর আবার টিকা এলে শিশুদের টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছাড়াও সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখের মতো। সেই অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকার চাহিদা পাঠায় সরকার। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পাঠায় ডব্লিউএইচও।