বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা যায় কি না সে বিষয়টা ভেবে দেখছি। আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন হবে। সেটাকে আমরা এ বছর থেকেই বাস্তবায়ন করবো কি না তা ভেবে দেখছি। এ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না। তবে আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, আগামী বছর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছিলেন। এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মূলত এখন দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। এ জন্য বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্ষমতা হিসাব না করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির একটা প্রবণতা আছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এই প্রবণতা আছে। ঢাকা শহরের সবচেয়ে নামি প্রতিষ্ঠানে প্রতি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৬৬ জন তারা সেটি ৭৫ জনে উন্নীত করতে চায়। আমি বলেছি বাড়ানো তো হবেই না বরং কমাতে হবে।
‘আমরা যে ধরনের উন্নয়ন চাই, যে ধরনের উন্নয়নের কথা বলছি, সেটি এভাবে হবে না। একজন শিক্ষক ক্লাসে এতো শিক্ষার্থী কীভাবে পড়াবেন। তার পক্ষে সবাইকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব না। আমরা মান বাড়ানোর চেষ্টা করবো, পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে। মান ঠিক রাখতে হলে, সংখ্যায় বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করতে হবে।’
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি অনিবার্য কোনো কারণ না ঘটে।
সাংবাদিকদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময় জনপ্রিয় হয় না। তারা (সাংবাদিকরা) তো সব সময় জনপ্রিয় সংবাদ খোঁজেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সরকার সময়মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে যদি কৃচ্ছ্রতা সাধনে না যাই, তাহলে সামনে আমরা বিপদে পড়বো।