ভয়াবহ বন্যার মুখে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার জলবায়ুজনিত মানবিক সংকট অভিহিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে দেশটির সরকার।
এই বন্যায় দেশটিতে গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ৯১৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ৩৪৩ জন। এছাড়া অন্তত ৩ কোটি মানুষ আশ্রয়হারা হয়েছে।
দেশের এই জরুরি অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বিদেশে সরকারি সফর স্থগিত করেছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, দেশটির সিন্ধু প্রদেশে বন্যা ও বৃষ্টিজনিত ঘটনায় সব চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিন্ধু প্রদেশে মারা গেছেন ৩০৬ জন।
এছাড়া বেলুচিস্তান প্রদেশে ২৩৪ জন, খায়বার পাখতুনখোয়ায় ১৮৫ ও পাঞ্জাবে ১৬৫ জন মারা গেছেন। এদিকে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭ এবং গিলগিট-বালতিস্তান এলাকায় ৯ জন বন্যায় মারা গেছেন। এ সময় ইসলামাবাদেও একজন মারা যায়।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার হিসাব অনুয়ায়ী, আগস্টে পাকিস্তানে ১৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা স্বাভাবিক গড় ৪৮ মিলিমিটার থেকে ২৪১ শতাংশ বেশি। বেশি দুর্যোগপূর্ণ এলাকা সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে যথাক্রমে ৭৮৪ শতাংশ এবং ৭৯৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানজুড়ে অস্বাভাবিক এই বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল। এই মুহূর্তে সিন্ধু প্রদেশের ২৩ জেলা পানিতে ডুবে আছে।