দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ (এনডিসি)।
সোমবার পেট্রল পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তেলের দামের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর ফলে খরচ কতটা কমবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে দাম কমানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এর আগে, রোববার ডিজেলের ওপর থেকে সব ধরনের আগাম কর মওকুফ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
এ অবস্থায় ডিজেলের দাম কমবে কিনা জানতে চাইলে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখনও ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৩২ ডলার পড়ছে, যেটা আমাদের বিক্রয় মূল্যের চেয়ে লিটারে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি।’
তিনি বলেন, ‘অগ্রিম কর এবং আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে খরচ কতটুকু কমবে সেটা বিশ্লেষণ করতে দুই-তিন দিন লাগবে। এই সুবিধা ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাবে কিনা তা জ্বালানি বিভাগ নির্ধারণ করবে।’
রাশিয়া থেকে আনা জ্বালানি তেলের নমুনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিপিসি চেয়ারম্যান জানান, শুধু ল্যাবে পরীক্ষার জন্য রাশিয়া থেকে খুবই অল্প পরিমাণ তেল আনা হয়েছে। এর সঙ্গে আমদানির কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে পেট্রোল পাম্প মালিকদের আগামী ৩১ আগস্টের কর্মবিরতি স্থগিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত পেট্রোল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক অভিযোগ করেন, নিয়ম না জেনেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে হয়রানি করছে ভোক্তা অধিকার। এ বিষয়ে প্রমাণসহ বিপিসিতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।