রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম এই পাঁচ দেশ থেকে খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।
রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ৫ দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানির চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু এর উপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে, যাতে শেষ মুহুর্তে কোন জটিলতা না হয়।
তিনি বলেন, আমরা চেক করে নিয়েছি রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো রকমের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়েছে।
সচিব জানান, দু-একদিনের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্যের বিষয়ে ব্রিফ করবে। তারা আমাদের জানিয়েছেন, ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্য মজুত আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী খাদ্য-সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এ নিয়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাল আমদানির জন্য যাদের ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফেল করতে পারে। এজন্য আগেই কিছু বিকল্প অর্ডার দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।