বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন তিনি।
হাসপাতালটিতে আন্তর্জাতিক মানের ১১টি মডেলের অপারেশন থিয়েটার রয়েছে এবং বিভিন্ন বিভাগ, শৃঙ্খলাসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিশ্বমানের সেন্টার থাকবে। এটি হবে দেশের প্রথম চিকিৎসা সুবিধা কেন্দ্র, যেখানে কেন্দ্র ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা যায়, ৭৫০ শয্যার এ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ। জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ছয়টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা।
এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধাও থাকবে এ হাসপাতালে।
হাসপাতালটিতে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন, রোবোটিক অপারেশন, জিন থেরাপির ব্যবস্থা থাকছে। উন্নতমানের আধুনিক ব্যবস্থাপনার বহির্বিভাগ, ইনফো ডেস্ক ও ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার থাকবে।
ভবনের এক ভাগে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথকেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার।
আরেক ভাগে থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার।
দরিদ্র রোগীদের জন্য থাকবে চিকিৎসায় ভর্তুকির ব্যবস্থা। রোগীদের সেবায় ৩০০ চিকিৎসকসহ এক হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। পর্যায়ক্রমে তাঁদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে দেশে দুই বছর থাকবেন ছয়জন কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার ও ৫০ জন কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
হাসপাতালটির মাধ্যমে দেশে চিকিৎসাসেবায় নয়া দিগন্ত উন্মোচন হবে। এরই মধ্যে তিন দফায় চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ পাবেন আরো ১৪০ জন।
উন্নত চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত করা হবে। কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধা থাকবে। এ জন্য ৮০ জন চিকিৎসক ৩০ জন নার্স ও ১০ জন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরো ৬১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।