জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। রোববারের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
পিজিসিবির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ কোম্পানির দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পিজিসিবির অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন সহকারী প্রকৌশলী এবং অপরজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
তিনি বলেন, ‘পিজিসিবির বাইরেও আমরা একটা টিমকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছি, সেটি আসতে কিছুটা সময় লাগবে। এর সাথে সাথে আরও একটি সংস্থাকে দিয়েছি, কী ভুলের কারণে এটা হলো।’
গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় তিনটি ইস্যু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যক্তির গাফিলতি আছে, এটা হলো একটা বিষয়। পিজিসিবির যে দুজনকে পাওয়া গেছে তাদের আজকের মধ্যে সাসপেন্ড করার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা চাচ্ছি যে, ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে যারা প্রোপারলি রেসপন্স করেননি পিজিসিবির কথার ওপর এবং যারা এ জন্য দায়ী, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চিহ্নিত করে তাদেরও সাসপেন্ড করা হবে। তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে, যাতে পরবর্তীসময় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় (গ্রিড বিপর্যয়) বাকি দুটি ইস্যুও আমরা চিহ্নিত করতে চাই। টেকনিক্যালি যেগুলোকে আমরা ভেরিফাই (যাচাই) করে রেক্টিফাই (সংশোধন) যেন করতে পারি। আরও একটি রিপোর্ট পেলে দুটোকে তুলনা করে একটা রিকমান্ডেশনে যেতে চাই।’
এটা কি শুধু দায়িত্বে অবহেলা নাকি ভিন্ন কিছু- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আপাতত দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি আসছে। তাদের বিরুদ্ধে বাকি তদন্তও চলছে।’
উল্লেখ্য গত ৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। গত ১৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এর পেছনে কারিগরি নয়, মূলত ব্যবস্থাপনা ত্রুটি ছিল। আর এজন্য দায়ী সঞ্চালন কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরই অংশ হিসেবে আজ বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করার কথাও বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী।