শ্বসরূদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ভারতের পর জিম্বাবুয়ের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপে টিকে থাকার শঙ্কায় পড়ে গেল বাবর আযমের দল।
রান তাড়ায় নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয় ধীরগতির। ইভান্সের করা চতুর্থ ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯ বলে ৪ রান করা বাবর আজম। পরের ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১৪) বোল্ড করে দেন মুজারাবানি। দলীয় ২৩ রানেই নেই দুই ওপেনার। পাওয়ারপ্লেতে ওঠে ২৮ রান। আর ৮ রান যোগ হতেই লুকি জঙ্গুইয়ের শিকার ইফতেখার (৫)।
এক প্রান্ত আগলে আক্রমণাত্মক খেলছিলেন শান মাসুদ। তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন শাদাব খান। ৩৬ বলে ৫২ রানের এই জুটি ভাঙে সিকান্দার রাজার বলে শাদাব খান (১৭) আউট হলে। পরের বলেই এলবিডাব্লু হয়ে যান হায়দার আলী (০)। ৮৮ রানে নেই ৫ উইকেট। জমে ওঠে ম্যাচ।
শেষ পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ৩৮ রান। এমন সময় ৩৮ বলে ৪৪ করা শান মাসুদকে তৃতীয় শিকার বানান সিকান্দার রাজা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। সেই সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ৩ রানের! ইভান্সের ফুল বলে লং অনে ড্রাইভ করেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। বল কুড়িয়ে মুহুর্তেই উইকেটরক্ষক চাকাভার কাছে পাঠিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। রোমাঞ্চিত চাকাভা বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন। ১ রানের বেশি নিতে পারেননি আফ্রিদী। ১ রানে হারে পাকিস্তান।
এর আগে পার্থে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩০ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। শাহিন আফ্রিদির প্রথম ওভারেই আসে ১৪ রান। ফিরতি ওভারে আফ্রিদিকে আর বল দেওয়ার সাহসই করেননি অধিনায়ক বাবর আজম। ওয়েসলি মাধভেরে ও ক্রেইগ আরভিন দুজনই ছিলেন মারমুখী। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ৪২ রানের এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। ১৯ বলে ২০ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
এর পরপরই অপর ওপেনার মাধভেরেকে লেগ বিফোর করেন ওয়াসিম। আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় পাকিস্তান। ১৩ বলে ১৭ রান করে ফেরেন মাধভেরে।
এরপর মিল্টন শুম্বাকে (৮) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন শাদাব খান। উইকেটে আসেন সিকান্দার রাজা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই বিস্ফোরক অলরাউন্ডার আজ ১৬ বলে মাত্র ৯ রান করেন।
পরের বলেই আউট হন লুকি জঙ্গুই। সিন উইলিয়ামসও ২৮ বলে ৩১ রানে আউট হন। চারটি উইকেট পড়লেও স্কোর ৯৫ রান থেকে নড়েনি। শেষদিকে ব্রাড ইভান্স (১৯) আর রায়ান বার্ল (১০*) কিছু রান যোগ করলে ২০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩০ রান। পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ২৩ রানে ৩টি নিয়েছেন শাদাব খান। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে আজও উইকেটশূন্য।
ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও, বল হাতে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সিকান্দার রাজা।