বিশ্বে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। চায়ের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিশেষ করে চিনি ছাড়া চা পান করলে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, তা হার্টের রোগ, ক্যানসার ও ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের কোষ মেরামতে ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন কতটুকু চা পান করা উচিত তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। রিডার্স ডাইজেস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে তিন থেকে চার কাপ চা পান করা যেতে পারে।
তবে বেশিরভাগ গবেষণার ফলাফল বলছে, অতিরিক্ত চা পান না করাই ভালো। প্রতিদিন চা পান ৪ কাপের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত।
তবে চা পানের ক্ষেত্রে প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে যে, চায়ে কোনো চিনি বা সুইটেনার নেই। এমনকি কিছু ফ্লেভারড টি-তে কোনো ক্যালরি না থাকলেও কৃত্রিম সুইটেনার ও প্রিজারভেটিভ থাকে। ইতোমধ্যে তৈরিকৃত চা কেনার পরিবর্তে নিজে চা বানানোর চেষ্টা করুন। চা পাতাকে যত বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এটির ক্যাটেচিন তত অকার্যকর হয়। গ্রিন টি হলো তুলনামূলক কম প্রক্রিয়াজাত চা। তাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।
পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমিত চা পানে অধিকাংশ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোকের কোনো ক্ষতি হয় না। চা হলো পানের জন্য খুব নিরাপদ পানীয়- এটি তখনই সমস্যার কারণ হতে পারে, যখন অতিরিক্ত পরিমানে পান করা হয়।