MYTV Live

২৯ বছর ক্ষমতায় থেকেও বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি কেন: প্রধানমন্ত্রী

১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কেন বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে পারেনি। তারা মানুষের ভাগ্য বদলাতে চায়নি। নিজেরা ভোগ বিলাসে ব্যস্ত ছিল।

শনিবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, আজকে চট্টগ্রামের সঙ্গে কথা বলছি, অনেক নেতা আমাদের মাঝে নাই। আমাদের প্রয়াত নেতারা মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদার রেখেছেন। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, এক টাকাও রির্জাভ ছিল না। খাদ্য ছিল না।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে চলমান উন্নয়ন কাজের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ বাংলাদেশের মানুষ তিন বার ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় এনেছিল বলে আমরা সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনভাবেই উন্নয়নের গতি থামাতে পাবে না।’

যে সমস্ত লোক সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ চোখে দেখে না, তাদেকে চোখের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের যে এসডিজি পরিকল্পনা সেটা আমরা মাথায় রেখেছি এবং ২০১০ থেকে ২০২০ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমাদের পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০৪১ নাগাদ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। সেজন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনার পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে এবং ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের বিরোধী কিছু লোক আছে যারা চোখ থাকতে অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না। ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতেও পারবে না।

সরকার প্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে, অর্থ চোরাচালান করতে পারবে, ওই ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানি করতে পারবে। অস্ত্র চোরাচালানি, অর্থ চোরাচালানি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এ গুলো পারবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করতে পারবে না, এটাই হলো বাস্তবতা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।

Related Articles

Stay Connected

22,878FansLike
3,802FollowersFollow
20,900SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles